সোহাগ মিয়াজী :
লাল, সাদা, হলুদসহ নানা রঙের ফুলে বর্ণিল হয়ে আছে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের ফোরলেনের আইল্যান্ড। ভ্রমন পিপাসু মানুষের মনে বাড়তি আনন্দ যোগ করছে এই ফুলের সমারহ।ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিশেষ করে কুমিল্লা অংশে যেখানেই চোখ পড়বে সেখানেই ফুলের সমারোহ। মহাসড়কের ফোর লেনের আইল্যান্ডে বর্ণিল ফুলের মেলা বসেছে।
লাল, হলুদ নানা রঙের ফুলের গাছ। মনোরম দৃশ্য দেখতে দেখতে যাতায়াত করছেন যাত্রীরা।সড়ক ও জনপদ সূত্র জানায়, এক পাশের আলো যেন অন্য পাশে এসে দুর্ঘটনা না ঘটায় তাই এ কম উচ্চতার ফুলের গাছ লাগানো হয়েছে। এছাড়া সৌন্দর্য বৃদ্ধি এবং আইল্যান্ড দখলমুক্ত রাখতেও এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে চট্টগ্রাম সিটি গেট পর্যন্ত ১৯২ কিলোমিটার মহাসড়ক। এ মহাসড়কের ১৪৩ কিলোমিটার এলাকায় বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগানো হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে হৈমন্তী, কুর্চি, টগর, রাধাচূড়া, কাঞ্চন, সোনালু, কৃষ্ণচূড়া, কদম, বকুল, পলাশ, কবরী, ক্যাসিয়া ও জারুল প্রভৃতি। এরকম ৫৪ হাজার গাছ লাগানো হয়েছে। এগুলোর উচ্চতা ২ মিটার থেকে ৫ মিটার। কুমিল্লার দাউদকান্দির বিভিন্ন অংশ এবং চৌদ্দগ্রামের অংশে বেশি ফুল দেখা যায়।
এই রাস্তায় যাতায়াত করা যাত্রী ও চালকরা জানায়, রাস্তার মাঝে ফুলের বাগানের মত দেখতে খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে এমন সুন্দর একটি সিদ্ধান্তের জন্য প্রধানমন্ত্রীসহ সংস্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানাই।বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এর কুমিল্লা জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাজাদা ইমরান জানায়, সৌন্দর্য বর্ধনের পাশাপাশি পরিবেশের ভারসম্য রক্ষায় এই গাছগুলো সহায়ক ভ’মিকা পলন করবে। তবে সড়ক ও জনপথ বিভাগের পাশাপাশি সকল যাত্রী, চালক ও মহা সড়কের পাশে বসবাসরত মানুষের এই গাছের যত্ন নিতে হবে।ফোর লেন প্রকল্পের আওতায় ১৪টি বাইপাস, সেতু ও কালভার্ট ছাড়া মহাসড়কের মিডিয়ানে (আইল্যান্ড) এসব গাছ লাগানো হয়েছে। গাছের সুরক্ষায় নজরদারি করছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।শুধু সরকারের না এই গাছ রক্ষণাবেক্ষনের দায়িত্ব আমাদের সকলের।